• আপডেট টাইম : 19/09/2022 11:10 PM
  • 243 বার পঠিত
  • মোঃ গোলাপ হোসেন
  • sramikawaz.com

সকল মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের সুযোগ প্রদান, ঢাকা মেট্রোতে থ্রি হুইলার লাইসেন্সধারী চালকদের জন্য ২০০৭ সালে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ৫ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের রেজিষ্ট্রেশন (ব্লু বুক) প্রদান, বিআরটিএ’এ কর্তৃক নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা কার্যকর, নো পার্কিং মামলা দেওয়া বন্ধ, পুলিশী হয়রানি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিক্সা চালক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হয়। ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিক্সা চালক ঐক্য পরিষদের কার্যকরী কমিটির আহবায়ক শেখ হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্ঠা ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি মো: খলিলুর রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি প্রকাশ দত্ত। ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক মো: আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা পোশাক প্রস্তুতশারী শ্রমিক সংঘের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল আলম মালিক, চালক ঐক্য পরিষদের কার্যকরী কমিটির সদস্য সচিব গোলাপ হোসেন, সদস্য মো: ইমান আলী, লেয়াকত আলী, দুলাল হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিক্সা চালক ঐক্য পরিষদের ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের প্রেক্ষিতে নতুন করে শুরু হয়েছে নানামূখী ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা। সিএনজি চালকদের ঢাকা মেট্রোতে থ্রি হুইলার লাইসেন্সধারী চালকদের জন্য ২০০৭ সালে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ৫ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের রেজিষ্ট্রেশন (ব্লু বুক) প্রদান, বিআরটিএ’এ কর্তৃক নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা কার্যকর, নো পার্কিং মামলা দেওয়া বন্ধ, পুলিশী হয়রানি বন্ধ, সকল মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের সুযোগ প্রদানসহ ৬ দফা দাবিকে বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করার জন্য একদিকে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মালিকপক্ষ ও তাদের ¯^ার্থরক্ষাকারী নামধারী শ্রমিকনেতাদের নিয়ে আজ ত্রিপক্ষীয় সভা আহবান করে ভাড়ার বৃদ্ধির নামে দৈনিক জমা বৃদ্ধির অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। বক্তারা বিআরটিএ চেয়ারম্যানের এই পদক্ষেপেন নিন্দা জানিয়ে বলেন জানিয়ে বলেন ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন চালকদের ১,৬০০ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে দিন শুরু করতে হয়। তার উপর রাস্তায় চলাচলের সময় পুলিশ মিটারের অজুহাতে ৭০০-২,৫০০ টাকার মামলায় দেয়। ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থার সময়ে চালকদের আন্দোলনের মুখে লাইসেন্সধারী ৫ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের রেজিষ্ট্রেশন (ব্লু বুক) প্রদান সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ৩,১৯৬ জন চালকের নিকট হলে ট্রেজারি চালানসহ আবেদন গ্রহণ করা হয়; বাকি ১,৮০৪ জন চালকদের আবেদনের প্রক্রিয়াই চালু হয়নি। এমন কি দীর্ঘ ১৫ বছরেরও সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা একটি রেজিষ্ট্রেশনও পায়নি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আবেদনকৃত ৩,১৯৬ জন চালককে রেজিষ্ট্রেশন(ব্লু বুক) প্রদান এবং ১,৮০৪ জন চালকের আবেদন প্রক্রিয়া চালুসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...