• আপডেট টাইম : 30/11/2020 02:30 AM
  • 630 বার পঠিত
  • বিশেষ প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া থেকে
  • sramikawaz.com

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেছেন দলের মধ্যে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ওই চক্রটি ততই তার পেছনে আদা জল খেয়ে লেগেছেন। আগামী নির্বাচনে যেন তিনি নৌকার মনোনয়ন না পান সে জন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো সহ বিভিন্ন দপ্তরে নানা ধরণের অভিযোগ করে চলেছেন। বোরবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্বেলন করে এসব কথা তুলে ধরেন চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু। এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান মানিক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জামিরুল ইসলাম বাবু উল্লেখ করেন, বিএনপি’র ঘাঁটি বলে পরিচিত রিফাইতপুর ইউনিয়নে ‘৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ৪৫ বছর বিএনপির প্রার্থীরাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০১৬ সালে তিনিই প্রথম আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাল করেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনে তিনি যেন দলীয় মনোনয়ন না পান সে জন্য দলের মধ্যে একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র নানা ভাবে তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের একটি মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে ফাঁসানো চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংবালিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভিজিডি’র কার্ড ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সম্মিলিত ভাবে প্রনয়ন করা হয়। ১০১টি কার্ডের মধ্যে ভুলবসত পূর্বের অর্থবছরের ৪টি সুবিধাভোগির নাম দ্বিতীয় বার অন্তর্ভূক্ত হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ৪ জনের নাম কর্তন করে নতুন ৪ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়। নতুন নামগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বররাই অন্তর্ভূক্ত করেন। এর মধ্যে মানিক হোসেন মেম্বর অন্তুর্ভূক্ত করেন নাহারা খাতুন ও আব্দুস সবুর ওরফে ছবির মেম্বর অন্তুর্ভূক্ত করেন রুবিনা খাতুনের নাম। তাদের নামে ইস্যুকৃত কার্ড নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসলে সংশ্লিষ্ট মেম্বরকে তা নিস্পত্তির জন্য নির্দেশনা প্রদান করি। কিন্তু আব্দুস সবুর মেম্বর আমার নির্দেশনার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পরে খোজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুস সবুর মেম্বরের অন্তুর্ভূক্ত করা রুবিনা খাতুনের নামে ইস্যুকৃত কার্ডের চাল আব্দুস সবুর মেম্বরের ভাগিনা তার ব্যক্তিগত কাজের লোক শিতলাইপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম ওই চাল উত্তোলন করে তা ভোগ করে আসছেন। অথচ ষড়যন্ত্রকারীরা এটিকে ইস্যু করে আমার নামে চাল আত্মসাতের মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।
জামিরুল ইসলাম বাবুর দাবী করেন, অন্যায় হয়ে থাকলে সেটি করেছেন সংশ্লিষ্ট আব্দুস সবুর মেম্বর। কিন্তু আব্দুস সবুর ওরফে ছবিরে মেম্বরের অপরাধের দায় সে বহন করছেন। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীর মুখোশ উন্মোচন হবে। এই জন্য সংবাদকর্মীদের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সকলের উপস্থিতিতে রিফাইতপুর ইউনিয়নের বয়স্কভাতার কার্ড বিতরন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...