• আপডেট টাইম : 24/05/2024 01:58 PM
  • 279 বার পঠিত
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • sramikawaz.com

গার্মেন্ট শ্রমিকদের কারখানাভিত্তিক রেশন ও আবাসনের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের দাবিতে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। আজ ২৪ মে ২০২৪, শুক্রবার বেলা ১১টায়, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশ থেকে আসন্ন বাজেটে গার্মেন্ট শ্রমিকের রেশনের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ না থাকলে সকল শিল্প এলাকায় আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়। সমাবেশে গার্মেন্ট টিইউসি নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকরা ২৫ হাজার টাকা মজুরি দাবি করে পেয়েছে মাত্র ১২ হাজার ৫শ’ টাকা। তখন সরকার ও মালিকপক্ষ রেশন, বাসস্থানের বিষয়ে পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেছে। এবারের বাজেটেও যদি শ্রমিকদের ফাঁকি দেয়া হয়, শ্রমিকরা তার উপযুক্ত জবাব দেবে।


গার্মেন্ট টিইউসি’র সভাপতি শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাম্মদ শাহজাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, সহ-সভাপতি জলি তালুকদার, জিয়াউল কবির খোকন, সহকারী সাধারন সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, আব্দুস সালাম বাবুল, আজিজুল ইসলাম, শাহীন আলম, মাসুদ রানা প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে আসন্ন বাজেটে গার্মেন্ট শ্রমিকদের রেশন ও আবাসনের জন্য বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বলা হয়, কোন শ্রমিকবিরোধী-গণবিরোধী বাজেট দেশের জনগণ মানবে না।

সমাবেশে গার্মেন্ট টিইউসির সভাপতি শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ বলেন, বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় বাজেট গৃহীত হয়। শ্রমিকের জন্য বাজেটে কিছুই থাকে না।

যারা জীবনী শক্তি ক্ষয় করে দেশের ৮৪ ভাগ রপ্তানি আয় করে সেই শ্রমিকদের খাদ্য-আবাসন-চিকিৎসা-শিক্ষার জন্য সরকার কখনই তাদের প্রতিশ্রত বরাদ্দ রাখে না। অন্যদিকে মালিকদের জন্য বাজেটে থাকে উদার হস্ত বরাদ্দ।

সমাবেশে শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার বলেন, যেই শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে তাদের বঞ্চিত করে তাদেরই উপার্জিত অর্থে রাষ্ট্রীয় বাজেটে দেশের স্বল্প সংখ্যক সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আরাম আয়েশের ব্যবস্থা হয়। অন্যদিকে শ্রমিক তার ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত থাকছে। তিনি বলেন, শ্রমিকরা বর্তমানে অনেক বেশি সচেতন। তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে লুটেরাদের পকেট ভারি করার বাজেট তারা মানবে না। এবারের বাজেটে শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হলে সরকারকে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।

সমাবেশে শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম বলেন, ব্যাংক ডাকাত ও ঋণখেলাপীদের মাফ করে দিতে দেশের শ্রমিক মেহনতি মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় হয়। শোনা যাচ্ছে কালো টাকা ও অসৎ উপার্জনের মালিকদের বিপুল আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে। অন্যদিকে শ্রমিকরা রেশন, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য বরাদ্দ চেয়ে যদি হয়রানির শিকার হয় তার পরিণতি সরকারকে ভোগ করতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কদমফুল ফোঁয়ারা ঘুরে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে মুক্তিভবনে এসে শেষ হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...