• আপডেট টাইম : 08/10/2022 10:31 PM
  • 476 বার পঠিত
  • শরীফুল ইসলাম কুষ্টিয়া
  • sramikawaz.com

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিভিন্ন ধরণের ফল ও ফসল উৎপাদন করে সফলতা দেখিয়েছেন গোলজার হোসেন নামে এক কৃষক। তিনি মালটা, কমলা, পেয়ারা, কলা, আঙুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফসল ও সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এধরণের ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন।
ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ীপুল বিলের মাঠ এলাকার কৃষক গোলজার হোসেন জানান, প্রবাস জীবন শেষ করে ১২ বছর আগে দেশে ফিরে তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন। ¯^প্ল পরিসরে কৃষি কাজ শুরু করে সফলতা পেয়ে ক্রমাš^য়ে তিনি এর সম্প্রারণ করতে থাকেন। ফল ও ফসলে ভরা বর্তমানে তার কৃষি জমির পরিমান প্রায় ৬শ’ বিঘা। এরমধ্যে ১০বিঘা জমিতে মালটা ও কমলা রয়েছে, যা থেকে গত দুই বছর ধরে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছেন। রয়েছে পেয়ারা বাগান, কলাক্ষেত এবং ¯^প্ল পরিসরে চাষ করেছেন আঙুর।
মালটা চাষ লাভজনক হওয়ায় গোলজার হোসেনের দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষক এই মালটা চাষে ঝুঁকেছেন। এরফলে শুধুমাত্র ভেড়ামারা উপজেলায় ১২হেক্টর জমিতে মালটা চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভেড়ামারা কৃষি কর্মকর্তা মো. শায়খুল ইসলাম। তিনি জানান, এখানকার মাটি মালটা চাষের উপযোগী ও অধিক লাভজনক হওয়ায় বেকার যুবক থেকে শুরু করে সব বয়সীরা মালটা চাষে ঝুঁকছেন। একবার মালটা গাছের চারা রোপনের পর মালটা গাছে ফল ধরতে শুরু করলে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় না। প্রতি বিঘা জমিতে মালটা চাষে খরচ হয় প্রায় একলক্ষ টাকার মত। যা পরবর্তী দেড় বা দুই বছরের মধ্যে মালটা বিক্রয় করে লাভ হয় দ্বিগুন বা তারও বেশী। যা অন্যান্য ফসল বা ফলের চেয়ে অধিক লাভজনক। শুধু তাই-ই নয়, পুষ্টিগুনে ভরা ও চাহিদা সম্পন্ন অধিক লাভজনক হওয়ায় মালটা চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিসহ সবধরণের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ বলেও জানান তিনি।
মালটা চাষ সম্প্রসারিত হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। আর এমনটাই মনে করেন এ অঞ্চলের কৃষক ও কৃষি বিভাগ। সেইসাথে ভেড়ামারার সফল কৃষক গোলজার হোসেনের মত আরো যারা আছেন তাদের মত কৃষিকাজে উৎসাহিত হলে দেশ হবে কৃষিক্ষেত্রে ¯^নির্ভর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...