• আপডেট টাইম : 27/11/2023 12:11 AM
  • 91 বার পঠিত
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • sramikawaz.com

মজুরি বোর্ডের ৭ম সভার পূর্বে আজ ২৫ হাজার টাকা নিন্তমম মজুরিরদাবিতেআন্দোলনরত সংগঠনসমূহের মোর্চা ‘মজুরি বৃদ্ধিতেগার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’-এর সমাবেশ থেকে ঘোষিত খসড়া মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনা করে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশ থেকে শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুলহোসেনসহ কারাবন্দি শ্রমিকদের মুক্তি ও শ্রমিক হত্যাকান্ডে দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
আজ ২৬ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার, বেলা ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিকআন্দোলন-এর সমন্বয়ক তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাদেকুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশেবক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহিদুলইসলাম সবুজ, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুলইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের
সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ, ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক
প্রমুখ।সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মজুরি বোর্ড প্রস্তাবিত খসড়া মজুরি কাঠামো গার্মেন্ট শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরামালিকপক্ষের অনুকূলে নামমাত্র মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এলে অন্তত ৪ জন শ্রমিক হত্যাকাÐের শিকার হয়েছে।যাদের মধ্যে রাসেল, আঞ্জুয়ারা ও জালালউদ্দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গাজীপুরের শ্রমিক ইমরান কারখানার ভেতরেঅগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মজুরি বোর্ড ঘোষিত মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনা করবে এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা কাজেফিরেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, খসড়া মজুরি প্রস্তাব চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মজুরি বোর্ডের ৭ম সভা চলছে। মজুরি বৃদ্ধির নামে আবারোকোনো প্রহসনের ঘোষণা এলে শ্রমিকরা তা মানবে না। নেতৃবৃন্দ আজকের সভা থেকে ঘোষিত মজুরি সকল অসঙ্গতি সংশোধন ওগার্মেন্ট শ্রমিকের নি¤œতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির আন্দোলন দমনে সরকার শক্তি প্রয়োগের পথ গ্রহণ করে বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে। গত ১৪ নভেম্বর রাতে শ্রমিকনেতা বাবুল হোসেনকে উঠিয়ে নেয়া হয়। তাকে
আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হয়। নেতৃবৃন্দ বাবুল হোসেনসহ সকল কারাবন্দি শ্রমিকের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, গঠনমূলকট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের ওপর দমন-পীড়নের ফলাফল ভালো হবে না।সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক হত্যাকাÐে দায়ীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাষ্ট্রের এমন দমনমূলক আচরণ বন্ধ করে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি মেনে না নেয়া হলে শিল্পে উৎপাদনের সুষ্ঠুপরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, খসড়া মজুরি কাঠামোতে একজন হেল্পারের সাথে দক্ষ অপারেটরের মজুরি পার্থক্য ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।যা ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। তারা বলেন, হেল্পার ও অপারেটরের বেতনের পার্থক্য ন্যায্য না হলে শ্রমিকরা ঘোষিত মজুরি মানবে
না। সমাবেশ থেকে বেসিক ৬৫ শতাংশ, বাৎসরিক ইনμিমেন্ট ১০ শতাংশ, পূর্বের ১ ও ২নং গ্রেড বহাল, শিক্ষানবিশ গ্রেড বাতিলেরদাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ঘোষিত খসড়া মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সকল গ্রেডেএকই হারে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে হবে।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কদমফুল ফোয়ারা ঘুরে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন-এর পক্ষে

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...