• আপডেট টাইম : 11/11/2023 02:23 AM
  • 84 বার পঠিত
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • sramikawaz.com

মজুরি বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত প্রহসনমূলক মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় শ্রমিক সমাবেশথেকে অবিলম্বে শ্রমিকের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা-নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক হত্যাকানোডর জড়িতদের
বিচার ও আহত-নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে মজুরি বোর্ডের প্রহসনমূলক প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করে নি¤œতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা দাবি জানানো হয়।সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বেসিক ৬৫ শতাংশ, ইনμিমেন্ট ১০ শতাংশ, ১ ও ২নং গ্রেড বহাল, হেলপার ও অপারেটরের বেতনের
যৌক্তিক পার্থক্য নিশ্চিত করা না হলে চলমান শ্রমিক বিক্ষোভ শান্ত হবে না। সমাবেশ থেকে সোয়েটারের পিসরেট, জ্যাকার্ডসহসকল গ্রেডে একই হারে মজুরি বৃদ্ধির দাবি উত্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে মালিকদের চμান্তমূলক ১৩ (১) ধারা প্রয়োগ বন্ধ করে
উৎপাদন চালুর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।আজ ১০ নভেম্বর ২০২৩, শুμবার, সকাল সাড়ে ১০টায়, পুরানা পল্টনের মণি সিংহ সড়কে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় শ্রমিক সমাবেশে
গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকার শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রেরসভাপতি মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, সহ-সভাপতি জলি তালুকদার, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মঈন,কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ বলেন, নিরস্ত্র শ্রমিকদের ওপরে গুলি চালিয়ে, তাদের হত্যা করে সরকার যে সহিংসতা চালাচ্ছেতা নিন্দারও অযোগ্য। শ্রমিকরা ন্যায্য দাবি করেছে, আলোচনার পথে তা সমাধান না করে বরং রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ সরকারের
গণবিরোধী চরিত্রকে উন্মোচন করেছে। মালিকপক্ষ নানান কূটকৌশলের মাধ্যমে শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি বঞ্চিত করতেচাচ্ছে। সরকার মালিকদের আজ্ঞাবহ লাঠিয়াল হিসেবে শ্রমিক বিক্ষোভ দমনের নামেনির্বিচারে হত্যাকাÐসহ গুরুতর মানবাধিকার
লঙ্ঘন করছে। তিনি সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ঘোষিত মজুরি
পুনর্বিবেচনা করে সংকটের সুরাহা করতে হবে।সমাবেশে শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম বলেন, বাজার পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে শ্রমিকের পক্ষে নতুন মজুরি
কাঠামো গ্রহণ করা সম্ভব নয়। সরকার যদি জোর করে অগ্রহণযোগ্য মজুরি কাঠামো চাপিয়ে দেয়, আন্দোলনের পথেই শ্রমিকরাতার উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি বলেন, সহিংসতা বন্ধ করে শ্রমিকদের দাবি মেনে না নেয়া হলে ২০০৩, ২০০৬, ২০১০ সালের
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঠেকানো যাবে না। সকল ধরনের ক্ষয়ক্ষতির দায়ও সরকারকে নিতে হবে।সমাবেশে শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার বলেন, সরকার লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করে যে উন্নয়নের বড়াই করছে, তার নেপথ্যে প্রধানঅবদান এদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকের। অথচ তারাই আজ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, শোষিত ও নিরন্ন জীবন-যাপন করছে। তিনি
বলেন, শ্রমিকরা রপ্তানি আয়ের যোগান দিয়েছে, সরকার সীমাহীন লুটপাট ও অর্থ পাচারের মধ্য দিয়ে রিজার্ভ শূন্য করে ফেলেছে।শ্রমিক জীবনী শক্তি ক্ষয় করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা অর্থনীতিকে ধ্বংস করে চলেছে।
শ্রমিক বাঁচার মতো মজুরি দাবি করায় সেই সরকার নির্বিচারে গুলি করে তাদের হত্যা করছে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদেরওপরে নির্যাতন চালিয়ে কোনো স্বৈরতন্ত্রই চিরস্থায়ী হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের জুলুমও শ্রমিকের জোয়ারের কাছে টিকবে না।
সমাবেশ থেকে আগামী ১২ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার, শ্রম মন্ত্রণালয়ে ঘোষিত মজুরি কাঠামোর বিষয়ে শ্রম আইন অনুসারে আপত্তিপ্রদান ও মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি পেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন মোড় থেকে নূর হোসেন চত্বর ঘুরেজাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...