লালমনিরহাটে ‘আমাদের গ্রাম, আমাদের সুস্থতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম (স্বাস্থ্যকর শহুরে গ্রাম কর্মসূচি)” এর আওতায় স্বাস্থ্যকর গ্রাম মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন ফুটবল মাঠে দুপুর ২টা থেকে ৬ ঘণ্টাব্যাপী ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং বেসরকারি সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইএসডিও এর যৌথ উদ্যোগে কানাডা সরকারের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ কানাডার (GCC) এর অর্থায়নে ওই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, মেলায় স্থানীয় জনগণ, সরকারি কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় উদ্যোক্তারা অংশ নেন। মেলার মূল আকর্ষণ ছিল চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী, স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “তরুণদের চোখে আদর্শ গ্রাম” শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী, স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প, অস্থায়ী ক্যাম্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনী, নারী উদ্যোক্তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট পণ্য প্রদর্শন ও বিপণন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও স্যানিটেশন বিষয়ক জনসচেতনতামূলক নাটিকা।
আয়োজকরা আরও জানান, মেলাটির মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং স্যানিটেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এছাড়া উঠান সভা এবং হাটবাজার প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূর আলম মিয়া জানান, এই মেলার আয়োজন ছিল স্থানীয় জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রকল্পটি ওই এলাকার মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ রানা বলেন, “একটি সুস্থ শিশু আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। এই শিশুটির সম্পূর্ণরূপে বেড়ে উঠা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তাকে খর্বকায় মুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর গ্রাম কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা একটি শিশুর চারিপাশের ৩৬০ ডিগ্রি স্বাস্থ্যাভাস, পুষ্টি, নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণের মাধ্যমে শিশু খর্বকায় হার কমানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই মেলা স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং স্যানিটেশনের প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের সূচনা।”
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, “এই ধরনের মেলা জনগণকে সম্পৃক্ত করে আয়োজন করা খুবই ইতিবাচক একটি কার্যক্রম। এর মাধ্যমে জনসাধারণ সচেতন হবে এবং তারা সমাজের শিশুর সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।“
রিপোর্টঃ তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, লালমনিরহাট