লালমনিরহাটে হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর শহর গ্রাম কর্মসূচি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে এক সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইএসডিও এবং ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের অবস্থিত জেলা পরিষদ মিলায়তনে ‘স্বাস্থ্যকর গ্রাম করি, শিশুদের ভবিষ্যৎ এগিয়ে রাখি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত ওই প্রেস মিট এর সঞ্চালনায় ছিলেন ইএসডিও এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদ রানা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা.মিঠুন গুপ্ত, ওয়াস ভ্যালুচে ইন স্পেশালিস্ট আমিনুল ইসলাম মৃধা, ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, নিউট্রিশন এন্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং স্পেশালিস্ট ড. তোফায়েল মোহাম্মদ আলমগীর আজাদ, মিল স্পেশালিস্ট হাফিজুর রহমানসহ জেলায় সকল স্তরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা জানান, ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইএসডিও এর যৌথ উদ্যোগে এবং কানাডা সরকারের আর্থিক সহায়তায় গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ কানাডা, জিসিসি এর মাধ্যমে পরিচালিত "হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর শহরে গ্রাম কর্মসূচি লালমনিরহাট জেলার গ্রামীণ ও শহরতলির জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ২০২২ সাল থেকে কাজ করে আসছে।
দীর্ঘ ৪ বছরব্যাপী তথা ২০২২ ইং সাল থেকে ২০২৬ ইং সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পটি লালমনিরহাট সদর এবং আদিতমারী উপজেলায় মোট ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ১ লাখ ৫৭ হাজার পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি এবং নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগ বৃদ্ধি করে শিশুর খর্বকায় হ্রাসের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে শিশুর খর্বকায় হওয়ার প্রবণতা শতকরা ৩০.৯০ থেকে কমে শতকরা ২৭.৮০ ভাগ হয়েছে।
মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করা, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রতিবন্ধী শিশু ও পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবার সুযোগ বৃদ্ধি, স্থানীয় উদ্যোক্তা এবং বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মোকাবেলায় লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
রিপোর্টঃ তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, লালমনিরহাট