কুষ্টিয়া সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে চাঁদা চাওয়ার পর না দেওয়ায় রিপন নামের এক চালককে কাউন্সিলের অফিসে নিয়ে রাতে মারধর ও দিনে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। রিপন নামের ওই চালককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রিপন ও তার সহযোগী ফারুক হোসেন জানান, শহরের চৌড়হাস মোড়ে সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় যাত্রী পরিবহন করা হয়। প্রতিদিন এ স্ট্যান্ড থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা নেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু। শুক্রবার বিকেলে এসে চাঁদা দাবি করেন তিনি। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রাতে রিপনকে ধরে নিয়ে গিয়ে বাবুর চৌড়হাসের অফিসে তাকে মারধর করে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর আজ শনিবার ১৩ মার্চ দুপুর ১টার দিকে কাউন্সিলর বাবুর নেতৃত্বে জাকির হোসেন, মিল্টন ও রবিনসহ ১০-১২জন রিপনকে মারধর করে ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
ফারুক জানান, প্রতিদিন স্ট্যান্ডে থেকে জোরপুর্বক ১ হাজার টাকা করে নেন কাউন্সিলর বাবু। চাঁদা না দেওয়ায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রিপনকে মারধর করেছে।
৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফ-উল-হক মুরাদ বলেন, সিএসজি স্ট্যান্ডটি আমার এলাকার মধ্যে। কাউন্সিলর বাবু জোরপুর্বক ১ হাজার টাকা করে নেয় আমি জানি। তার ছেলেরা এসে দুইজনকে মারধর করেছে। একজেনর ছুরি মেরেছে বলে শুনেছি।’
আহত রিপন বলেন, এ বিষয়ে মামলা করা হবে বাবুসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।