• আপডেট টাইম : 02/01/2021 05:31 AM
  • 692 বার পঠিত
  • আওয়াজ প্রতিবেদক
  • sramikawaz.com

শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ'র অনৈতিক বে-আইনি বক্তব্যের প্রতিবাদ ও বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে মহার্ঘ্য ভাতা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়নগঞ্জ শাখা।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট টিইউসি'র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এড. মন্টু ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বাবুল, জেলা কমিটির নেতা মোস্তাকিম ও আক্তার প্রমূখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন- শ্রমিকরা করোনা মহামারীর মধ্যে মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে পোশাক শিল্পের উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই অবদানের জন্য মালিক ও সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেয়া উচিত। কিন্তু তা-না করে মালিকরা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চালিয়েছে। তাদের এ আচরণ অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক। ইনক্রিমেন্ট না দেয়ার জন্য মালিকদের অযৌক্তিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন- প্রতি বছর দেশে মূল্যস্ফীতি হয় এই মূল্যস্ফীতির সাথে সাথে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়ে এই ব্যয় সামাল দেওয়ার জন্য মজুরি গেজেটে শ্রমিক-কর্মচারীদের ৫ শতাংশ হারে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইনগতভাবে ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া প্রস্তাব পুরোপুরি অনৈতিক ও বে-আইনি। তাদের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। নয়-তো শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে, শিল্পে অস্থিরতা তৈরি হবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন- করোনা সংকটের শুরুর দিকে মালিকরা পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা বলে সরকারের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ সহ ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকার নগদ সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদেরকে তারা কোন সুবিধা দেয়নি বরং উল্টো ৩৫ শতাংশ হারে বেতন কেটে নিয়েছে, ঈদ বোনাস কম দিয়েছে। গণহারে ছাঁটাই করে লাখো লাখো শ্রমিককে দুর্দিনে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। এখন আবার শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট মেরে দেয়ার পাঁয়তারা চালিয়েছে অন্যদিকে সরকারের কাছ থেকে আরো প্রণোদনা নেওয়ার ধান্দা করছে। ওরা গাছেরও খাবে তলারটাও কুড়াবে। মালিকদের এই মুনাফা লোভী মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। এতে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা তৈরি হলে কিংবা শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে সমস্ত দায়দায়িত্ব মালিকদেরকেই নিতে হবে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়েছে ফলে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রাপ্ত মজুরিতে জীবন ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তা বিবেচনায় নিয়ে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাড়িয়ে দেওয়াসহ বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে শ্রমিকদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা চালু করাার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...