• আপডেট টাইম : 24/12/2020 12:49 AM
  • 471 বার পঠিত
  • আওয়াজ প্রতিবেদক
  • sramikawaz.com

খুব সুখইে দনি কাটে রাহলোর। ফুটফুটে তনিটা সন্তান ও স্বামীকে নযি়ে তার সুুুুখভেরা সংসার।
স্বামী রহমত অশক্ষিতি হলওে মানুষ হসিাবে খুবই ভালো এবং সংসারী। রাহলোর মনে প্রথম দকিে খুব কষ্ট ছলি এস.এস.স.িপাস রাহলোর স্বামী অক্ষর জ্ঞ্যানহীন অকাট র্মূখ।
এখন সইে কষ্ট আর নইে তার মন,ে কারণ
রহমত অত্যন্ত পরশ্রিমী এবং সৎ, রাহলো নজি চষ্টোয় অক্ষর জ্ঞ্যান শখিযি়ছেে রহমতক।ে
রহমত গ্রামরে এনজওি'র নকিট টাকা লোন নযি়ে একটি ইঞ্জনি নৌকা বানযি়ে নজিরে র্আথকি অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়ছে।ে প্রতমিাসে এনজওি'র মাসকি কস্তিি পরশিোধ করার পর পরবিার নযি়ে স্বাচ্ছন্দে দনি কাটে তাদরে। যনেো সুখরে সাজানো গোছানো বাগান,
খুব সুখে দনি কাটতে থাকে রহমতরে। স্বপ্ন দখেে রহমত, ময়েে তনিটাকে নযি়,ে খুব ভালো শক্ষিায় শক্ষিতি করে গড়ে তুলবে যাতে ছলেরে অভাব মনে না আস।ে ছলেরে আশায় একে একে তনি তনিটি মযে়ে জন্ম নযি়ছে।ে তবে এখন আর তার মনে কোন দুঃখ নাই ময়েে হয়ছেে সইে কারণ।ে তার তনিটা ময়ে-েই খুব গুনবতী, বড় ময়েে রবয়ো বয়স ১০ বছর মঝে ময়েে রাজযি়া বয়স ৮ বছর ও ছোট ময়েে রাশদো বয়স ৬ বছর। শক্ষিতি করার পরকিল্পনা নযি়ে রহমত ময়েদেরে মাদারীপুরে গ্রামরে স্কুলে র্ভতি করে দযি়ছে।ে এখন আগরে চযে়ে বশেি পরশ্রিম করে স,ে চোখে মুখে আনন্দ আগামীর স্বপ্ন বুকে জড়যি়।ে মানুষ চায় এক রকম,ঘটে আরকে রকম। সৃষ্টর্কিতাই ভালো জাননে। মানুষরে জীবনে আনন্দ বা সুখ বশেদিনি স্থায়ী হয় না শুনছেলিাম।
সবার কপালওে সুখ সয়না, রাহলোর ও কপাল পুড়লো। হঠাৎ খবর এলো তার স্বামী রহমত ইঞ্জনি নৌকা র্স্টাট করতে গযি়ে শ্যালো মশেনিরে হ্যান্ডলে ছুটে গযি়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পয়েছে।ে আশপোশরে লোকজন ছুটে এসে হাসপাতালে নওেয়ার পথে মারা যায় রহমত। এক পলকইে রাহলোর সুখরে পৃথবিী ভঙেে খান খান হয়ে যায়। সৃষ্টর্কিতার ইচ্ছার বরিুদ্ধে মামলা চলনো। মনেে নওেয়া ছাড়া উপায় নাই,
তাই রহমতরে মৃত্যু মনেে নযি়ে এগযি়ে যতেে হবে রাহলোক।ে রাহলো ও সৃষ্টর্কিতার অমোঘ নয়িম মনেে তনি সন্তান নযি়ে জীবন যুদ্ধ শুরু কর।ে যার কপালে বধিাতা সুখ লখেে নাই কে তারে সুখ দবি?ে তার নৌকা টা একজনরে কাছে মাসকি ৩ হাজার টাকার চুক্ততিে ভাড়া দযি়ে ছলিো। কয়কে মাস চলার পর হঠাৎ একদনি সইে ব্যক্তি জাকরি মযি়া এসে বলে তার নৌকা চুরি হয়ে গছে।ে রাহলোর চারপিাশে গভীর আধাঁর নমেে আসে কি করে এনজওি'র মাসকি কস্তিি শোধ দবেে এবং কি খাওয়াবে ময়েদেরে। তা ছাড়া সুন্দরী রাহলোর রূপরে কারণে এলাকার কছিু মন্দলোক কু-দৃষ্টতিে তাকায়। ঘররে আশপাশে ঘুর ঘুর করতে থাক।ে রাহলো নরিূপায় ভাবতে ভাবতে নর্ঘিুম রাত কাটায় প্রায়।
অবশষেে তার মাথায় একটা বুদ্ধি আস।ে সে গ্রাম ছডে়ে ঢাকা শহরে চলে যাব।ে তার এক পরচিতি বোন থাকে সখোন,ে যমেন ভাবা তমেন কাজ। গ্রামরে মায়া ত্যাগ করে একদনি রাতরে আধাঁরে স্বামীর ভটিা ছডে়ে ঢাকা শহরে চলে যায় রাহলো। নতুন ভাবে জীবন যুদ্ধে জতোর আশা নযি়।ে কি বা করার আছে তার এই প্রাণহীন শহর।ে তবুও আপাতত বস্ততিে একটা খুপরি ঘর ভাড়া নযে় রাহলো। তার দূরসর্ম্পকরে বোন বাসা বাড়ীর কাজ ঠকি করে দয়ে। অনকে গুলো বাসা বাড়রি কাজ নযি়ে জীবন যুদ্ধে ঝাঁপযি়ে পড়।ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে প্রাণপণ চষ্টো করে যায় স।ে ছয়মাস এভাবইে চলতে থাকে রাহলোর। তার রান্নার হাত বশে চমৎকার,
রাফরাত রাইয়্যান সাহবেরে বাসায় মাঝে মাঝে রান্না কর।ে একদনি রাইয়্যান সাহবে তার রান্না খাবার খয়েে গন্নিকিে জজ্ঞিাসা করে কে রঁেধছে?ে গন্নিি রাহলোর প্রশংসা সহ নাম উপস্থাপন কর।ে বাসা বাড়রি কাজ করে অল্প অল্প টাকা জমতে থাকে তার হাত।ে
রাহলো বস্তরি কছিু সএিনজি ড্রাইভার ও রক্সিা চালক কে দনিে দুই বলো খাওয়ানোর চুক্তি করে এতে করে তার আয় বাড়তে থাক।ে রাহলো বাসা বাড়রি কাজ কমযি়ে নজিরে ব্যাবসার প্রতি নজর দয়ে। শুধু একটি বাসার কাজ হাতে রখেে সব বাসাবাড়রি কাজ পরচিতি জনরে নকিট ছডে়ে দযি়ে তার মাসকি চুক্তরি আওতায় বশেি লোক খাওয়ানোর কাজরে পরধিি বাড়ায়।
এদকিে তার রান্না করা খাবার যে অত্যন্ত সু-স্বাদু তা মানুষরে মুখে মুখে ছড়যি়ে পড়ে মহল্লায়।
রাহলো যে বাসায় কাজ করতো সইে বাসার মালকি রাইয়্যান সাহবে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানতিে চাকুরী করনে, রাহলোর রান্না খযে়ে খুব পছন্দ হয়ছেলিো প্রথমদনি সইে থকেে রাহলোর জন্য একটা কছিু করার পরকিল্পনা ছলি। অফসিে আলোচনা করে রাহলোকে সইে কোম্পানতিে দুপুররে খাবার সরবরাহরে কাজটি পাইয়ে দযে় এবং রাহলোকে বলে একটা নাম দযি়ে কোম্পানি করত।ে
রাহলো খুশরি খবর পযে়ে আল্লাহর দরবারে শুকরযি়া আদায় করে এবং সৃষ্টর্কিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।ে সে "রাহলোর রান্নাঘর" নাম দযি়ে কাগজ পত্র তরৈি করে খাবার সরবরাহরে কাজ শুরু কর।ে প্রায় সব মলিযি়ে তনিশত লোকরে রান্না সে একা আর কুলযি়ে উঠতে পারবনো না। অফসি থকেে কছিু টাকা অগ্রমি হসিাবে পায় সইে টাকা দযি়ে প্রয়োজনীয় রান্নার সরঞ্জাম ক্রয় করে এবং রান্না সহযোগী হসিাবে ৫ জন লোক নযি়োগ দযে়। র্সবাত্মক প্রচষ্টো চালযি়ে উন্নত মানরে খাবার সরবরাহরে জন্য রাহলো প্রস্তুতি নযে়। সে এত বড় সুযোগ পতেো না, যদি না রাফরাত রাইয়্যান সাহবে তাকে কাজটি পতেে সাহায্য করতনে। সইে জন্য রাহলোর রাফরাত সাহবেরে নকিট কৃতজ্ঞতার শষে নাই। রাহলোর রান্নাঘররে শুভ যাত্রা শুরু। প্রথম দনিরে খাবাররে চালান অফসিে পৌঁছে দযি়ে টনেশনে এদকি সদেকি ছুটোছুটি করছে রাহলো। অফসিরে স্যাররো খাওয়ার পরে কি মন্তব্য কর,ে সময় আর কাটতে চায় না রাহলোর। হঠাৎ ফোন পয়েে রাহলোর গলায় কথা বরে হয় না,কোনো মতে হ্যালো বল,ে ফোনরে ওপাশে রাহলোর রান্না ঘররে ম্যানজোর বাবুল মযি়া ফোনে জানায় খাবাররে প্রশংসার কথা। রাহলোর চোখরে পানি আর বাঁধা মাননো। এটা খুশরি কান্না, যুদ্ধ জয়রে আনন্দ অশ্রু।
এখন রাহলোর চোখ জোড়া স্বপ্ন খলো কর।ে মযে়ে তনিটারে সু-শক্ষিায় শক্ষিতি করে গড়ে তুলব,েতার স্বামীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।ে গ্রামরে বাড়তিে গযি়ে এনজওি'র ঋণ পরশিোধ করে স্বামীর মৃত আত্মার শান্তরি জন্য দোয়া করব।ে
দনিে দনিে ব্যবসা আরো বৃদ্ধি পয়েছে,ে মযে়ে তনিটা লখোপড়া করছ,ে বস্তরি ঘর ছডে়ে ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নযি়ছে।ে এখন রাহলো একজন ভাল উদ্যোক্তা, ১৫ জন র্কমচারী তার "রাহলোর রান্না ঘর" এর নযি়মতি র্কমী। সকলইে রাহলোর সংসাররে সদস্য এবং সহযোদ্ধা। সবাইকে নযি়ে রাহলো স্বপ্ন দখে,ে সমৃদ্ধরি পথে এগযি়ে নবিে সবাইক।ে সব কছিুই ঠকিঠাক চলছলিো হঠাৎ চীনরে উহান প্রদশে থকেে করোনা ভাইরাস সারা বশ্বিে ছড়যি়ে পড়লো। করোনা মহামারীর কারণে এই বছররে র্মাচ মাসে হঠাৎ সব কমেন যনে বদলে যতেে থাক,ে সইে ধাক্কায় র্অথনীতরি চাকা প্রায় থমেে যায়।
রাহলোর সমস্ত অফসিে খাবার সরবরাহরে কাজ বাতলি হয়ে যায়
"রাহলোর রান্না ঘর" পুরোপুরি বকোর হয়ে পড়।ে রাহলো ভাবে তার পোড়া কপালরেই সব দোষ। রাহলোর সব আশা অন্ধকারে নমিজ্জতি হয়ে যায়।
করোনা রাহলোর মত কত শত সুখরে সংসার লন্ডভন্ড করে ফলেছে।ে র্দীঘ ৯ মাস "রাহলোর রান্না ঘর" এর সকল র্পযায়রে র্কমচারী এখন মানবতের জীবন পার করছ।ে
কবে করোনার থাবা থকেে পৃথবিী মুক্ত হব,ে কবে রাহলোর লন্ডভন্ড রান্নাঘর আগরে মত ব্যস্ত হয়ে উঠব।ে রাহলো আশায় বুক বঁেধে সকলকে নযি়ে অপক্ষোর প্রহর গুনছ।ে

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...