কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বৃহস্পতিবার ঢাকামুখী মানুষের তেমন চাপ দেখা যায়নি। যাত্রীচাপ বাড়ে শুক্রবার। শনিবারেও সেটা অব্যাহত আছে, তবে শুক্রবারের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
ঈদ উদযাপন শেষে বাড়ি থেকে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ দেখা গেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। রোববার কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকা ফিরছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে শনিবারই যোগ দেবেন কাজে।
কমলাপুরে বৃহস্পতিবার ঢাকামুখী মানুষের তেমন চাপ দেখা যায়নি। যাত্রীচাপ বাড়ে শুক্রবার। শনিবারেও সেটা অব্যাহত আছে, তবে শুক্রবারের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
কর্মজীবীদের চাপ কমলাপুরে
রেলওয়ের কর্মী মোহাম্মদ আরজু বলেন, ‘আজকের চেয়ে গতকাল (শুক্রবার) যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। আজকেও অনেক মানুষ আসবেন। কারণ কাল অনেকেই অফিসে যোগ দেবেন।’
চট্টগ্রাম মেইলে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছান পুলিশ সদস্য রোজিনা। তিনি পুলিশ লাইনসে কর্মরত। ঈদের ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে তিন সন্তানকে নিয়ে ফিরেছেন ঢাকায়।
রোজিনা বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ, তাই কাজে যোগ দিতে ফেরা।’
জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে আসা যমুনা এক্সপ্রেসের যাত্রী বিজিবি সদস্য শরীফ। তিনি বলেন, ‘ঈদ উদযাপনে বাড়িতে গিয়েছিলাম। এখন ফিরছি। রাঙ্গামাটি পোস্টিং আমার। সেখানে যাব।’
বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে আজই কাজে যোগ দেবেন। এমনই একজন এস এম সাইফুল ইসলাম। জামালপুর থেকে আসা এই যাত্রী কাজ করেন আমার গ্রুপে।
তিনি বলেন, ‘ছুটি শেষ হয়েছে গতকাল। এখন গিয়ে সরাসরি কাজে যোগ দেব।’
সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কমলাপুর পৌঁছে খুলনা থেকে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এর যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এসি কামরায় মানুষের ভিড় খুব বেশি ছিল না। সাধারণ বগিগুলোতে অনেক ভিড় ছিল। সময়মতো পৌঁছাতে পেরেছি। খুব বেশি ঝামেলা হয়নি।’
ঈদের আগে বাড়িযাত্রার ভোগান্তি সইতে না চাওয়া অনেকে এখন যাচ্ছেন বাড়িতে। এমনই দুজন ঝুমা ও আরিফা আক্তার।
এই দুই গৃহিণী তাদের চার সন্তানকে নিয়ে রওনা হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে।
তাদের একজন বলেন, ‘ঈদের আগে ভিড়-ভোগান্তি নিয়ে যেতে চাইনি। তাই আমরা এখন যাচ্ছি।’
কর্মজীবীদের চাপ কমলাপুরে
রাজধানীতে পুরোদমে কর্মব্যস্ততা শুরুর আগের দিন শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে ছয়টি ট্রেন।
নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও পৌনে ১০টাতেও পৌঁছেনি স্টেশনে। এ ছাড়া রংপুর এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস দেরিতে ছাড়বে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানান, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস ছাড়তে দেরি হবে।
তিনি বলেন, ‘জয়পুরহাটে একতা এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সেটির কারণে নীলসাগর এক্সপ্রেস দেরি হচ্ছে।’
বগি লাইনে আনতে ঠিক কত সময় লাগবে, তা জানাতে পারননি তিনি।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘আজ ৩৭ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলবে। এর মধ্যে ৯টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত ১৫টি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও নীলসাগর ছাড়া সবগুলো সময়মতো ছেড়ে গেছে।’