• আপডেট টাইম : 11/01/2025 06:47 PM
  • 135 বার পঠিত
  • আওয়াজ প্রতিবেদক , লালমনিরহাট
  • sramikawaz.com

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ার ভিটা সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বিষয়টি জানতে পেরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ,বিজিবি তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয়।

পরে ৮ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং বিএসএফ স্থাপিত যন্ত্র ও খুঁটি সরিয়ে নেয়।

৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ঘটনার সত্যতা সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর, ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৯ নম্বরের ২ নম্বর উপপিলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের গাটিয়ার ভিটা সীমান্তের শূন্য রেখার ৫০ গজ অভ্যন্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বিএসএফের ৯৮ ব্যাটালিয়নের ফুলকা ডাবরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সে দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করে।


বুধবার সকালে ধবল সুতি এলাকায় চাষাবাদের জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়রা বৈদ্যুতিক পিলার ও স্থাপিত যন্ত্র দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বর্ডারগার্ড ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও খুঁটির সঙ্গে স্থাপিত যন্ত্র দেখতে পান। বিএসএফ কোনোকিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে শূন্যরেখার মধ্যে এসব স্থাপন করায় প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।

পরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০ মিনিটের ওই বৈঠকে ভারতীয় বিএসএফ এর ৬ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র সিং।

বাংলাদেশের বিজিবির পক্ষে ৬ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন সুবেদার মাহবুবর রহমান। ওই বৈঠকে রাতের অন্ধকারে শূন্য রেখায় খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করায় প্রতিবাদ জানানো হয় এবং বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে শূন্যরেখার মধ্যে কোনো কিছু নির্মাণ বা স্থাপনে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকের পর স্থাপিত যন্ত্র ও খুঁটি সরিয়ে নেয় বিএসএফ।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়ন (তিস্তা-২) এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিএসএফ জানায় তাদের চা বাগানে নাকি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয় সেজন্য যন্ত্র ও খুঁটি স্থাপন করেছিল। বিজিবির পক্ষ থেকে শূন্যরেখার মধ্যে আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি অনুযায়ী কোনো কিছু স্থাপনা করার সুযোগ না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট জানানো হয়েছে ।

এ বিষয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। পরে তারা নির্মিত স্থাপনা সরিয়ে নেয়।

রিপোর্টঃ তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, লালমনিরহাট

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...