• আপডেট টাইম : 19/11/2023 12:24 AM
  • 98 বার পঠিত
  • আওয়াজ ডেস্ক
  • sramikawaz.com

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি বাবুল হোসেনসহ সব শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাদের মুক্তি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠনটি নিহত শ্রমিকদের ‘এক জীবনের সমান ক্ষতিপূরণ’ ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান এবং পোশাকশিল্পে নিম্নতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করে ২৫ হাজার টাকায় নির্ধারণের দাবি জানায়।

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটি এসব দাবি জানায়। সমাবেশের পর তারা মিছিল করে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য দেন সহসভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহসাংঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা হযরত বিল্লাল, রুপালী আক্তার, মামুন হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা।


সমাবেশে তাসলিমা আখতার বলেন, ‘আমরা এক বছর ধরে ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমরা দেখলাম, সরকার ও মালিকপক্ষ সলাপরামর্শ করে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি ঘোষণা করেছে। এ মজুরি শ্রমিকেরা প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নামলে তাদের দাবি উপেক্ষা করে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার এমনকি শ্রমিক হত্যার মতো কাজও করছে তারা। আমরা যখন শ্রমিক আন্দোলনের পক্ষে থেকে মজুরি প্রত্যাখ্যান করেছি, তখন মালিকপক্ষ অস্থির হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘শ্রমিকেরা নাকি গাড়ি ভাঙচুড় করে, শ্রমিকেরা নাকি আগুন জ্বালায়—এসব মিথ্যা অভিযোগ এনে আশুলিয়া, কোনাবাড়ী, গাজীপুর, ময়মনসিংসহ সব শ্রমিক অঞ্চলে দমন–পীড়ন শুরু করা হয়েছে। এরই সর্বশেষ নজির আমরা দেখলাম গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। শ্রমিক অঞ্চলগুলোতে ভয় ছড়ানোর জন্য তারা এমন করছে।’


তাসলিমা আখতার বলেন, ‘শ্রমিক আঞ্জুয়ারা, রাসেল ও ইমরানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ কী? আমাদের অপরাধ কী? আমরা শ্রমিকদের খেয়েপরে বাঁচার স্বার্থে আন্দোলন করছি।’ তিনি বলেন, ‘মালিকেরা শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজেন। রাজনীতি খোঁজেন। রাজনীতির বাইরে কিছু নেই। খেয়েপরে বাঁচার অধিকার শ্রমিকদের রাজনৈতিক অধিকার। বিক্ষোভ করা ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠিত হওয়া শ্রমিকদের সাংবিধানিক অধিকার। শিল্পে সমৃদ্ধির হিস্যা শ্রমিকদের দিতে হবে।’

তাসলিমা আখতার আরও বলেন, ‘মালিকেরা আন্দোলন দমন করতে ভয় দেখাবেন, কিন্তু এ ভয়ের পাল্টা জবাব আমাদের দিতে হবে। বাবুল হোসেনকে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে ২০ ঘণ্টা গুম করে রাখা হয়েছিল। এরপর অজ্ঞাতনামা মামলায় ভাঙচুরের অভিযোগ এনে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। শুধু বাবুল হোসেন নন, বহু শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...